এছাড়া আর একটি খুব কার্যকরী পদ্ধতি আছে, সেটা হলো, গরম কালে ঝড় বৃষ্টি না থাকলে কবুতরকে একটি খাঁচায় মুল খোপের থেকে দূরে যেখান থেকে
স্পষ্ট দেখা য়ায় এমন জায়গায় সকাল পর্যন্ত রেখে দিতে হবে, কিন্তু রাত্রে মুল খোপে ঢুকানো যাবে না। আর কবুতর মুল খোপে ফিরে আশার জন্য সন্ধার থেকে অধির আগ্রহে ছটপট করবে এবং সকালে মুল খোপে ছেড়ে দিতে হবে। এই পদ্ধতিটা খুব বেশী কার্যকরী, কেননা, আমরা দেখেছি কোন কবুতর যদি দুই একদিন হারায়ে যেয়ে রাত্রে বাইরে থেকে পরে ফিরে আসে, এই ধরনের কবুতর আর হারানো সম্ভবনা থাকে না। এই পদ্ধতিটা শীতকালে ও বর্ষার সময় করা যাবে না এবং অবশ্যই রাত্রে পেচা ও বিড়াল সহ বিভিন্ন প্রাণীর হাত থেকে খেয়াল রাখতে হবে।
যাহোক এর বাইরে যদি আর কোনো ভাল পদ্ধতি কারো জানা থাকে, তবে আশা করছি আমাদের জানাবেন, আমরাও উপকৃত হবো।
লক্ষ্য করলে দেখা গেছে, বিভিন্ন জাতের কিছু কবুতর আছে, এদের কার্যকলাপ দেখলে মনে হয় যথেষ্ঠ পোষ মেনেছে, কিন্তু যখন আকাশে উপরে উঠে তখন দিক হারায়ে আর নামতে পারে না এবং মিসিং হয়ে যায়। যে সকল কবুতর সহজে বাড়ীর থেকে দূরে যায় না, এই ধরনের জাতের কবুতর ও যে গুলি অতিরিক্ত বাজি করে, এই ধরনের কবুতর হারানো পরিমান বেশী । বিশেষ করে যে কবুতরগুলি বাড়ীর উপর তাক করে উড়ে, এই সব কবুতর সামান্য মেঘে পড়লে আর ফিরে আসতে পারে না। এরা চলমান মেঘের উপরে তাল দিয়ে উড়তে উড়তে অনেক অজানা দূরে চলে যায়, আর চাইলেও ফিরে আসার ক্ষমতা রাখে না।
-------------- চলবে ।
ধন্যবাদ, ধর্য্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য।
*** কবুতর পোষ মানাতে যেয়ে আমরা অনেক সময় কবুতরকে অতিরিক্ত আদর যত্ন ও ছেনাচেটকা করি, ফলে কবুতর অনেক বেশী মানসে হয়ে যায় এবং আশানুরুপ পারফর্ম করে না। এই কারনে উড়ানি হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতর যথাসম্ভব কম হাতে নিয়ে নড়াচড়া করা ভাল, তাতে ট্রেনিং এর সময়
মালিক কবুতরের সম্পর্ক দূরত্ব বেশী হওয়ার কারনে দাবাড়াদাবড়ীর ব্যাপরটা ভাল কার্যকারী হয়।
ভিডিও
লিখেছেন -
No comments:
Post a Comment