বাংলাদেশে প্রাচীন কাল থেকেই কবুতর পালন হয়ে আসছে, বিভিন্ন সময়ে এই দেশে বিভিন্ন শাসন আমল থাকার কারনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে কবুতর এ দেশে এসেছে,তবে বেশির ভাগ কবুতর ই ছিল হাইফ্লায়ার জাতের, পরে ভাল ভাল ব্রিডার গন বিভিন্ন ভাবে জাতের উন্নতি করে টিপলার এবং লো ফ্লায়ার জাত উদ্ভাবন করেছেন, এই জাতের উন্নতির ফলে বাংলাদেশ যেমন পেয়েছে হাইফ্ল্যায়ার তেমনি সৃষ্টি হয়েছে পাল্লা করা গিরিবাজ কবুতর । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গিরিবাজ হাইফ্লায়ার হিসেবে পালন করা হলেও বাংলাদেশে এই গিরিবাজ কবুতর দিয়ে টস বা পাল্লার রেয়াজ বিদ্যমান।
হাইফ্লায়ার টিপলার কবুতর এর মধ্যে বাংলাদেশে যে জাত গুলো আছে তার বেশির ভাগ ই ইন্ডিয়ান এবং পাকিস্তানি কবুতরের ব্রিড।উদাহারন হিসেবে ইন্ডিয়ান রাম্পুরি
, দেওবন্দ, সারানপুরি ইত্যাদি। ১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধের আগে পাকিস্তানি ব্রিড গুলো সব গুলোই বাংলাদেশে মডিফাই বা জাতের সৃষ্টি হয়েছিল বলে বড় বড় ব্রিডারগন রায় দিয়ে থাকেন,যুদ্ধের পরে ব্রিড গুলো বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যায় পাকিস্তানিরা আর যে ব্রিড গুলো ছিল সেই ব্রিড গুলো থেকে মডিফাই বা উন্নয়ন করে টস টিপলার কবুতর এবং টিপলার কবুতর এর জাত সৃষ্টি করেন বাংলাদেশের ওস্তাদগণ।পাকিস্তানি টিপলার কবুতরের মধ্যে টেডি
, কাসুরি ,কামাগার এই গুলই অন্যতম।বাংলাদেশের নিজস্ব ব্রীড "পাঙখি"
টস কবুতর জাতের মধ্যে সেরা জাত, এদের ট্রেইনিং দিতেও সময় কম লাগে তাছাড়া লাল পাত্তি (যা পাঙখি দিয়েই করা) ,সবুজ গলা, জিরা গলা অন্যতম সেরা টস বা পাল্লার কবুতর জাত বাংলাদেশের।
No comments:
Post a Comment