Thursday, 20 June 2019

কবুতর এর গল্প ১

আসসালামু আলাইকুম সকল কবুতর প্রেমি ভাই ও বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই,
আজ কিছু কথা বলবো কবুতর নিয়ে,
কবুতরের জাত দেখে কবুতর কিনুন,
কবুতরের কিলু দেখে নয়,
আমাদের কদমরসুল বন্দর নারায়ণগঞ্জ পিজন ক্লাবের সভাপতি ঃ আউয়াল খন্দকার কাকা আমাকে ঈদের গিফট শরুপ ছবিতে দেওয়া বাচ্চা ২ টা দেন, নিল পরের চি চি বাচ্চা কোন রকম নিজে আদার খায়,
আমি একদিন বাচ্চা ২ টাকে খাচায় ভরে একদিন ২ ঘ্নটা রোদে দেই ধাপ্রির উপরে,
পরের দিন একটা বাচ্চা হাত ফস্কে ছুটে যায় ভালো করে উরাল ও দিতে পারে না,
ছাদ থেকে পরে যায় নিচে পাসের বাসার টিনের চালে,
এক ওরাল দুই ওরাল দিয়ে বাচ্চাটা চালু হয়ে যায়,
ওই দিন সকাল থেকে বাচ্চাটা মিসিং, কিন্তু সারা দিন ই দৌরাদুুরি করতে দেখি,
সন্ধ্যা হয়ে গেল বাচ্চা বাসায় আস্লো না ,
রাতে কাকার সাথে বললাম কাকা বাচ্চাটা মিসিং,
আমাকে জিজ্ঞেস করলো বাসায় নিয়া কি বাইরে দিছো?
আমি বল্লাম হে দিছি একদিন খাচায় করে,
হেসে বল্লো বাসায় এসে পরবে, ও যে পর্যন্ত নিজের বাড়ি না চিনবে কারো বাসায় কোন কবুতরের সাথে বসবে ও না কেউ দরতে ও পারবেনা,
কাল ঠিকি বাড়ি চিনে ফিরে আসবে,
এমন করে পরের দিন ও বাচ্চাটাকে দৌরাতে দেখি কিনতু বাসায় বসলোনা,
সন্ধা হয়ে গেল, কাকা জিজ্ঞেস করলো বচ্চাটা কি আসছে ,
আমি মন খারাপ করে বললাম না,
কাকা বল্লো এসে পরবে,
আমি বললাম এতো ছোটা বাচ্চা এতো রোধ নাই খাবার, নাই পানি বাচবে কি করে,
কাকা বল্লো এই গুলু বাড়ি মিসিং হয়ে গেলে ৫,৭ দিন বাইরে থাকতে পারে,
না হয় কোন জায়গায় বসে মরে থাকবে কিন্তু কেউ দরতে পারবেনা,
পরের দিন বাচ্চাটা কে এক বার ও দেখলাম না,
পরের দিন ও সকাল, দুপুর বিকেলে ও আর চোখে পরলো না,
কিন্তু আমাকে কয়েক এলাকার অনেকে ই বলেছে বাচ্চা তারা দেখে দৌরাতে কারো বাসায় বসেনা বলে,
৫ম দিনের বিকালে কাকায় অামাকে ফোন দিলো বিকেল ৪, ৫০ এ, আমাকে বল্লো বাচ্চাটা কি তোমার বাসায় এসে বসছে আমি বললাম না কাকা,
কাকায় বল্লো বাচ্চাটা হাজিগজ্ঞ এর দিক থেকে তোমার বাড়ির দিকে গিয়ে বস্লো,
আমি চারপাশে খুজে দেখি নাই কোথাও,
ঠিক সন্ধার আগে দেখে পাশের বিল্ডিং এর পানির টাংকির উপরে বসা বাচ্চাটা,
সন্ধ্যা হয়ে গেল, আবার কোথা ও চলে গেল,
পরের ৬ দিনের মাথায় বাচ্চাটা সকালে বাসায় এসে বসে চলে গেল,
সারা দিনে আর দেখা নাই এমন ওরাল দেয় যে এক পলকে কয়েক কিলু দুরে চলে যায়,
রাতে কাকাকে বললাম কাকা বাচ্চাটা বাসায় আস্লো এতোদিন পরে কিন্তু খাবার, পানি দিলাম নাম্লো না,
কাকা বল্লো চমক পাইছে ও বাড়ি সিউওর করতে পারে নাই তাই চলে গেছে,
আমি বললাম কি করবো কাকা বল্লো বাচ্চাটাকে প্রথম যেই দিন যে কয়টা কবুতরের সাথে যে ভাবে রাখছিলা কাল সকালে সেই ভাবে ই কবুতর ছারবা,

পরের দিন ভোরে ৭ ম দিন আল্লাহর নাম নিয়া ওর সাথের জোরা বাচ্চাটা ও সাথে আরো ৬ পিছ বাচ্চা খাচায় করে ধাপ্রির উপরে রেখে দিলাম ,
বাচ্চাটা বারির ঊপর দিয়া কয়েক বার চলে গেল বসেনা,
দুপুর ১ঃ৫০ মিনিটে বাসায় আস্লো আল্লাহর রহমতে সুন্দর ভাবে ওর খাচায় গেল,
আমি শিখেছি জাতের চর্চা করা কিলুুর না,
আওয়াল কাকার এই জাতের বয়স হবে ৬০ থেকে ৭০ বছরের পুরানো জাত,
ওনি নিজে পালতাছেন ৪০ এর বেশি সময় দরে,
আমার মুরুব্বি ও গুরুজনের জন্য সকলে দোয়া করবেন,




লিখেছেন -

Faysal Ahamed Rocky


No comments:

Post a Comment

কবুতরের হোমমেড হ্যান্ডফিডিং ফর্মুলা

বরাবরের মতো এইবারও বাচ্চাগুলাকে ওদের বাবা-মা খাবার খাওয়ায়...কিন্তু তারপরেও, আমি প্রতিদিনই ওদের একবার করে হ্যান্ডফিডিং করাই ওদের সুস্বাস্থ...