Thursday, 18 July 2019

ট্রেনিং পর্ব ১৪

এই পর্বে যে বিষয়টির উপর আমি বেশী গুরত্ব দিতে চাচ্ছি সেটা হলো “বাম”।অবশ্য ইচ্ছা ছিল “বাম” সহ অনান্য খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আমার যত অভিজ্ঞতা আছে তা শেষের দিকে তুলে ধরার চেষ্টা করবো, কিন্তু মাঝ পথে অনেকেই অধির আগ্রহে প্রায় মেসেজবক্সে জানতে চাচ্ছেন, কেন বাম হাইফ্লাইয়ার কবুতরের জন্য খারাপ। কেননা, আমি কোনো এক পর্বে বলেছিলাম বাম হাইফ্লাইয়ার কবুতরের জন্য ক্ষেত্র বিশেষ খারাপ।
তার আগে একটা জরিপ আপনাদের মাধ্যমে করে নিতে চাই, সেটা হলো, এই যে খুলনাতে এত বড় বড় অনেকগুলো রেজাল্ট বিগত দিনে অনেকে করে ফেলেছেন, তাদের কয়জনার বাড়ীতে “বাম” সেট করা আছে? আমার জানা মতে একদুইজন ছাড়া কারো বাসায় “বাম” নেই। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান ও দুবাইতে যে সকল বড় মাপের কবুতরপালক আছেন, তাদের কয়জনার ছাদে “বাম” সেট করা আছে? বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভিডিও দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে খুবই কম সংখ্যক পালক “বাম”ব্যাবহার করেন।
আমার ধারনা কেউ বুঝে “বাম” ব্যাবহার করেন আবার হয়তো কেউ না বুঝে “বাম” ব্যাবহার করেন। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি “বাম” ব্যাবহারে ভাল মানের কবুতরের থেকে বড় মানের পারফর্ম বের করা কঠিন। কেন কঠিন, সে ব্যাপারে আমি একটু পরেই আমার মত করে বিশ্লেষন করবো, কারো ভাল ও মনঃপুত হলে হবে, না হলে না হবে, এটা যার যার বুদ্ধি বিবেচনার বিষয়। আমি এই নিয়ে কোনো বিতর্কে জড়াতে চাই না। শুধু এইটুকু বলবো মধ্যম সারীর সর্বচ্চো ৪-৫ ঘন্টা উড়া কবুতরের উপর এই সব সুক্ষ ব্যাপার কতটা ফলপ্রুসু জানি না, তবে এই টুক বলতে পারবো বড় মাপের উড়া কবুতরের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই মেনেঝুনে চলতে হয়। সেটা বুঝে হোক আর না বুঝে হোক, হা হা হা, সামান্য কোনো কিছুতে ছাড় নেই।
আমরা “বাম” কেন ব্যাবহার করি? সবাই এক বাক্যে বলবেন, কবুতর যেন উচুতে বসে বাসার সব কিছু দেখে ভাল ভাবে পোষ মানতে পারে এবং রোদ পোহাতে পারে, এছাড়া আর একটি বড় বিষয় যদি কারো বাসার পাশ্বে বড় অট্টালিকা থাকে, যেন তাতে না বসে সরাসরি তার নিজের বাড়ীতে বসে।এই আর কি। এইতো গেলো “বাম” ব্যাবহারের টুকটাক কারন গুলি যা আমরা সচারচার দেখি। কিন্তু আমরা একটা বিষয় কখনও অনুধাবন করার চেষ্টা করি না, যেটা আমি পূর্বে বহুবার বলেছি, কবুতর অনুকরন প্রিয় ও অভ্যাসের দাস।এই যে অনেক সময় আমরা আমাদের কবুতরকে ছোট বেলার থেকে সারা দিন “বামে” বসায়ে রেখে বাসা চেনানো সহ রোদ পোহানোর জন্য রেখে দেই, ফলে কবুতর এইটা অবশ্যই বুঝতে সক্ষম ও অভ্যাসে পরিনত হয় যে, ঐ “বাম” নামক জায়গাটা রেষ্ট নেওয়ার জায়গা এবং ওখানে বসতে পারলে নিশ্চিন্তে দিন পার করে দেওয়া যাবে, ফলে আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি কবুতর সামান্য কষ্টে তাড়াতাড়ি “বামে” নেমে আসে ।
আমার সামান্য অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কবুতরের কাছ থেকে ভাল ও উচুমানের রেজাল্ট বের করে আনতে গেলে কবুতরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উড়ে নেমে আসার পরে খোপে ঢুকায়ে দেওয়া উচিৎ। বিষয়টা এমন হবে উড়া এবং খোপ, এর বাইরে অন্য কিছু না। কোনো খারাপ অভ্যাস করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। ব্যাপারটা এই রকম, খোপের বাইরে যতক্ষন থাকবে, মানে তাকে উড়তে হবে।
------------------------ চলবে।
ধন্যবাদ, ধর্য্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য।
*** যদি কারো আমার এই “বাম” বিষয়ক নেগেটিভ অভিজ্ঞতা সঠিক মনে না হয়, তবে আশা করছি উনি ওনার মত করে আমাদের সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন, এবং আমরা আরো কিছু জানতে পারবো ।
*** “বাম” এর ছবিগুলি ইন্টারনেট থেকে উধাহরন সরুপ উপস্থাপন করা।


ছবি ও ভিডিও

লিখেছেন -
Khulna Highflyer

No comments:

Post a Comment

কবুতরের হোমমেড হ্যান্ডফিডিং ফর্মুলা

বরাবরের মতো এইবারও বাচ্চাগুলাকে ওদের বাবা-মা খাবার খাওয়ায়...কিন্তু তারপরেও, আমি প্রতিদিনই ওদের একবার করে হ্যান্ডফিডিং করাই ওদের সুস্বাস্থ...