Friday, 19 July 2019

ট্রেনিং পর্ব ০১

হাইফ্রাইয়ার গিরিবাজ সম্পর্কে প্রায় আমার কাছে অনেকেই জানতে চান কিভাবে ট্রেনিং দেবো? যা আমার পক্ষে একবারে অল্প সময়ে উত্তর দেওয়া সম্ভব না, তাই মনে করলাম ধারাবাহিক ভাবে যতটা সম্ভব নতুনদের জন্য পর্যায়ক্রমে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আমার ধারনা আমি যদি আমার দীর্ঘ দিনের দেখা অভিজ্ঞতা তুলে ধরার চেষ্টা করি, তাও বোধ হয় ১০% তুলে ধরতে পারবো কিনা সন্ধেহ। কেননা, এত বিশাল এর ব্যাপকতা যা এত অল্প পরিশরে ও আমার মত সামান্য জানা মানুষের পক্ষে সম্ভব হবে না। হয়তো বা মাঝ পথে আমাকে থেমে যেতে হতে পারে, তার পরেও চেষ্টা করবো যতটা নতুনদের জন্য তুলে ধরার। হয়তোবা আমার জানা অভিজ্ঞতা অনেকের সাথে নাও মিলতে পারে অথবা আমার ভুল হতে পারে, সেগুলি কমেন্টের মাধ্যমে তুলে ধরলে আমি সহ অন্যদের যথেষ্ট উপকার হবে। তাছাড়া ট্রেনিং এর কথাবার্তা গুলি ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন নাও হতে পারে আমার অজ্ঞতার কারনে, সেটাও অনেকের মাথায় রাখতে হবে, যখন যেটা আমার মনে পড়বে সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
তাছাড়া আমাদের সকলকে কিছু কথা মাথায় রাখতে হবে, কবুতর কিন্তু মানুষের মুখের কথা বুঝে না, তাই মুখে বলে মানুষদের যেমন ট্রেনিং দেওয়া হয় সেই রকম কিছু না। যেমন কবুতরকে বল্লাম, বাজি খাও, আর অমনি বাজি খাওয়া আরম্ভ করলো, আবার বল্লাম, নেমে আসো আর সাথে সাথে ড্যানা বন্ধ করে নেমে আসবে সেরকমটা কিন্তু কিছুই না। মুলত, কবুতরকে কিছু অভ্যাসে পরিনত করাকেই ট্রেনিং হিসাবে ধরা হয়।
ট্রেনিং সম্পর্কে বলার আগে নতুনদের জন্য আমার কয়েকটা কথা থাকবে, সেটা হলো,
(০১). আগে ধারনা করতে হবে ও সম্ভব হলে জানতে হবে কবুতরটির জাতের মধ্যে উড়ার ক্ষমতা আছে কতটুকু?
(০২). আপনার বাসস্থান ও পারিপাশ্বিক পরিবেশ ও আবহাওয়ার জন্য কোন ধরনের গিরিবাজ কবুতর উপযোগী?
(০৩). কোন আবহাওয়ায় কোন জাতের কবুতর ভাল পারফর্ম করে।
(০৪). কোন বয়সে এসে কবুতর ভাল পারফর্ম করে?
(০৫). ......................................................
( চলবে ----- এবং দোয়া করবেন, যেন শেষ পর্যন্ত যেতে পারি। ইনসাআল্লাহ, এবার আপনাদের সাথে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছা আছে )

ছবি ও ভিডিও

লিখেছেন -
Khulna Highflyer

Thursday, 18 July 2019

ট্রেনিং পর্ব ০২

(০৫). দিনের কোন সময় ট্রেনিং আরম্ভ করা ভাল?
(০৬). ট্রেনিং কালীন সময়ে খাবার কখন দিলে ভাল হয় এবং কি ধরনের খাবার দেওয়া ভাল?
(০৭). আকাশ ও আবহাওয়া সম্পর্কে ধারনা রাখা।
(০৯). বাজপাখির হাত থেকে কিভাবে যতটা সম্ভব বাঁচায়ে কবুতর ট্রেনিং দেওয়া যায়।
(১০). কবুতর যতটা সম্ভব সুস্থ রাখা।
(১১). কবুতরের খোপ কেমন হওয়া ভাল?
(১২). বামের উপকারিতা ও অপকারিতা।
(১৩). নর-মাদি আলাদা করে পালন ও একসাথে পালন করার ফলে ভাল দিক ও খারাপ দিক।
(১৪). মোল্টিং এর সময় কি ধরনের পরিচর্যা করা ভাল?
(১৫). অতিরিক্ত ( বস্তা দাবড় ) প্রেশার দিয়ে ট্রেনিং এর অপকারিতা।
(১৬). অতিরিক্ত বাতাসে ট্রেনিং করালে পরবর্তীতে কি ফল দেয়?
(১৭). বৃষ্টিতে ট্রেনিং করালে পরবর্তীতে কি ধরনের সুবিধা ও অসুবিধার সম্মুক্ষিন হতে হয়?
(১৮). মেমোরী
ইত্যাদি ইত্যাদি .....
আমি জানি এখানে ধান বানতে আমার অনেক গীত গাওয়া হয়ে যাবে, কিন্তু উপায় নেই, কারন ধারাবাহিকভাবে হাইফ্লাইয়ার কবুতরের ট্রেনিং বিষয়ক কোনো কিছু লিখতে গেলে অনেক কঠিন একটা কাজ, বিশেষ করে আমার জন্য।
যাহোক, হয়তোবা কথনও কথনও আপনাদের কাছে রিপিট কথাবার্তা মনে হবে। তার পরেও কয়েকটি মৌলিক কথা মাথায় রাখলেই হলো। যেমন, হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতরের ট্রেনিং মানে, কবুতরের কিছু খারাপ অভ্যাস বন্ধ করানো আর কিছু ভাল অভ্যাস তৈরী করানোই মুল উদ্দেশ্য থাকবে। পূর্বে বলেছি কবুতর মানুষের মত কথা বুঝে ট্রেনিং নেয় না অথবা বুঝে না, ওরা শুধু অভ্যাসের দাস ও অনুকরন প্রিয়। আর একটি মুল কথা, আপনি যত ট্রেনিংই দেন না কেন, কবুতরের জাতের মধ্যে উড়া না থাকলে কখনই ভাল ফল পাবেন না এবং যদি জাতের মধ্যে উড়া থাকে তবে, পায়ে পাথর বেধে রাখলেও উড়া থামাতে পারবেন না।
**** আরো একটি মজার ও গুরুত্বপূর্ন গোপন বিষয় আজ আপনাদের কাছে প্রকাশ করছি, যা ইতিপূর্বে কেউ প্রকাশ করেছেন কিনা জানি না, তা হলো, হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতর দীর্ঘ সময় উড়ার জন্য রেসার কবুতরের মত অতিরিক্ত ভাল স্বাস্থ্য ও শারিরিক শক্তির উপর নির্ভরশীল না। একটু ভাঙ্গায়ে বলি, হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতর উড়তে উড়তে, মনে করেন ৬-৭ + ঘন্টা উড়ার পরে শরীর পানি শুন্যতায় পড়ে এবং তখন যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে ইচ্ছা করে চাইলেও সহজে নেমে আসতে পারে না, কারন নিজের উপর দখল থাকে না এবং সুতা ছেড়া ঘুড়ির মত বাতাসে একপ্রকার ভাসতে থাকে। তাহলে মোটামুটি বুঝতে পারতেছেন, কোন পর্যায়ের কবুতর, শারিরিক গঠন ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য অবস্থা ও ট্রেনিং ইত্যাদি হলে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে? অনেকে আবার এই ধরনের সুবিধা নেওয়ার জন্য কবুতরের বাজির তোড় ব্যাবহার করেন যাতে সহজে না নামতে পারে।
ধন্যবাদ।।

ছবি অ ভিডিও

লিখেছেন -
Khulna Highflyer

ট্রেনিং পর্ব ০৩

ট্রেনিং তো আরম্ভ করবেন, ভাল কথা, কিন্তু কি ধরনের কবুতর নিয়ে আরম্ভ করবেন? অবশ্যই ভাল মানের ও জাতের কবুতর নিয়ে আরম্ভ করবেন, এইটাই স্বাভাবিক। এখন ভাল কবুতর চিনবো কি করে? এটা খুব কঠিন একটা ব্যাপার, যদি আগের থেকে জানা না থাকে এই কবুতরগুলি ভাল মানের। তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভাল কবুতর মানে ৬-৭ + ঘন্টা এবং খুব ভাল কবুতর ৯-১০+ ঘন্টা উড়াকে ধরা হচ্ছে। অনেকেই ভাল কবুতর চেনার জন্য চোখ, ড্যানা, লেজ, নখ, ঠোট, বুকের হাড্ডির দৈর্ঘ্য ইত্যাদির উপর নির্ভর করে এবং কেউ কেউ এইভাবে ভালই চেনেন, কিন্তু আমার ধারনা, তারা কেউ ১০০% বলতে পারবেন না, এই কবুতরটি সঠিকভাবে লালন-পালন ও পরিচর্যা করার পরে ৭-৮ + উড়বে। তাছাড়া ভালোর তো শেষ নেই। তাই ভাল খুজতে খুজতে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাবে, তার চেয়ে বরংচ কোন কোন বৈশিষ্ট থাকলে ধারনা করা যাবে কবুতরটি খুব ভাল নাও হতে পারে এবং এইটাই বোধ হয় কিছুটা সহজ পদ্ধতি। (০১). চোখ দেখে বুঝার চেষ্টা করতে হবে, গিরিবাজ কবুতর ব্যাতিত অন্য কোনো জাতের কবুতরের সাথে জোড় দিয়ে কবুতরটির জাত তৈরী করা কিনা? (০২). চোখ যদি যথেষ্ট উজ্বল না হয় । (০৩). চোখের গিয়ার তুলনামূলক মোটা ও লালচে ভাবের কিনা? ( এটা একান্তই আমার দেখা অভিজ্ঞতা, ব্যাতিক্রম থাকতে পারে ) (০৪). শারীরিক গঠন লেজ পাকের তুলনায় শরীর বড় কিনা? (০৫). পা অতিরিক্ত মোটা কিনা ? (০৬). পা অতিরিক্ত লম্বাটে কি না? (০৭). খাদ্য থলি দেখতে বড় দেখায় কিনা? প্রয়োজনে ঠোটে মুখ দিয়ে হালকা ফু দিয়ে বেলুনের মত ফুলায়ে দেখতে পারেন । (০৮). ঠোট অতিরিক্ত মোটা এবং কিছুটা রেসিং হোমারের আকৃতির কিনা ও নাকের ফুল অতিরিক্ত ফোলানো কিনা? (০৯). ড্যানা খুলে ধরার সময় হালকা শক্তি প্রয়োগ করতে হয় কিনা? (১০). হাতে নিয়ে ঝাকি দিলে লেজ অতিরিক্ত খুলে যায় কিনা? (১১). লেজের গঠন এলোমেলো কিনা? (১২). শরীরের তুলনায় গলা অতিরিক্ত লম্বা অথবা খাটো কিনা? (১৩). অতিরিক্ত ঘাড় কাপায় কিনা? (১৪). পায়ে অতিরিক্ত মোজা আছে কিনা? (১৫). এছাড়া একদম নতুন পালকদের কিছু কিছু রঙের ও চেহারার কবুতর যে গুলো কখনই ইতিপূর্বে ভাল রেজাল্ট করেনি, সেগুলো রিস্ক নিয়ে না পালন করাই শ্রেয় এতে সময়ের অপচয় হওয়ার সম্ভবনা বেশী থাকবে, ইত্যাদি ইত্যাদি, এতক্ষন যে হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতরের বৈশিষ্ঠ গুলো বলা হয়েছে তা সাধারন ভাবে কিছুটা ধারনা নির্ভর কবুতরের নিম্নমানের লক্ষন হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে, যে গুলো দিয়ে ৬-৭ + ঘন্টা দম করানো অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়, তবে এমন না যে এর যেকোনো দুই-একটা লক্ষন থাকলেই যে একদম খারাপ হয়ে যাবে, এমনটা আবার ১০০% সঠিক না। এছাড়া আরো কিছু খারাপ বৈশিষ্ট, যে গুলো আকাশে দিয়ে পরীক্ষা করতে হয, যেমন, (০১). সার্বক্ষনিক দ্রুতগতিতে উড়া একটি খারাপ লক্ষন, একটি কথা প্রচলিত আছে, যে গরু বেশী দুধ দেয় সে ধীর পায়ে হাটে, ঠিক তেমনি যে কবুতর ধীরে ধীরে উড়ে সেই কবুতর দীর্ঘ সময় উড়তে সক্ষম, ও বেশীরভাগ সময় দেরীতে টিপে লাগে।(০২) মেমোরী কেমন? ................................ চলবে ।। ধন্যবাদ।
*** বিঃদ্রঃ হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ খারাপ কবুতরের আরো অনেক সুক্ষ সুক্ষ বৈশিষ্ট আছে, যা এখানে ও আগামীতে খোলাসা ভাবে কখনও প্রকাশ করা হবে না, কেননা, তাতে অনেক সময় ব্যাতিক্রম হওয়ার কারনে বিতর্কের সৃষ্ঠি হবে ও আমি বিতর্কের মধ্যে পড়বো, যা আমার কাম্য নয়। সব কিছুতে কিছু ব্যাতিক্রম থাকে, তাই আমি চেষ্টা করবো নতুনদের ঢালাওভাবে অল্প পরিশরে কিছু তথ্য জানানো যায় কিনা। তাছাড়া আমি যেটা সহজভাবে বুঝি, কবুতর না উড়ায়ে ভাল খারাপ বুঝতে পারা ধারনা নির্ভর ছাড়া আর কিছুই না।

ছবি ও ভিডিও

লিখেছেন - 
Khulna Highflyer

ট্রেনিং পর্ব ০৪

গত পর্বের সুত্র ধরে এই পর্বে প্রথমে হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতরের মেমোরী / স্মরনশক্তি নিয়ে আরম্ভ করতে হবে, যা হোক আমরা অনেকেই একটা কথা বলি হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতরের যদি মেমোরী না থাকে তাহলে সেই কবুতর না পালন করাই ভাল। একথা্টা যেমন সত্য তেমন আবার দেখা গেছে অতিরিক্ত মেমোরী থাকা হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতর খুব একটা ভাল পারফর্ম করে না। কারন হিসাবে আমার কাছে যা মনে হয়েছে, তা হলো এই ধরনের অতিরিক্ত মেমোরীওলা কবুতরগুলি বেশী ঘরমুখো, ফলে বেশীক্ষন না উড়ে তাড়াতাড়ি বাসায় নেমে পড়ার জন্য অস্থির থাকে। তাই কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভাল না। ধরে নিলাম আপনার কবুতর ছোটো বেলায় ট্রেনিং এর সময় অতিরিক্ত মেমোরী থাকার জন্য হারালো না, তাতে কি, যদি পরিনত বয়েসে এসে ভাল পারফর্ম না করে। মেমোরী থাকার যে সব সুবিধা আছে, তারমধ্যে অন্যতম, খুব অল্প সময়ের মধ্যে কবুতর বাসা চিনে ফেলে, ফলে কবুতর পালকের কবুতর হারায়ে যাওয়ার টেনশন কম থাকে। এছাড়া মেঘ-বৃষ্টি-কুয়াশা অথবা বাজ পাখির দাবড় খেয়ে হারায়ে আবার ফিরে আসার সম্ভবনা বেশী থাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একটি কবুতরের যে ভাল মেমোরী আছে, তা বুঝবো কিভাবে? কবুতর দেখে এটা বুঝাও খুব কঠিন, তবে কিছু কিছু লক্ষন দেখে ধারনা করা যায়, তার মধ্যে অন্যতম একটি বৈশিষ্ট কবুতরগুলির মাথা কম গোল আকৃতির হয় এবং একটু বড় টাইপের মাথা হয়। ক্ষেত্র বিশেষ নাকের ফুল একটু বেশী ফোলা হয়। তাছাড়া দেখা গেছে বুনো, কালো, মাছিয়া ইত্যাদি এবং কালশীরা প্রজাতির কবুতরের একটু বেশী মেমোরী ।সোজা কথা, একটু জংলিটি টাইপের কবুতরগুলির বেশী মেমোরী হয়। আর যে গুলো আহ্লাদে টাইপের ও সৌখিন টাইপের সুন্দর দেখতে এগুলোর একটু কম মেমোরী হয়। আসলে একটি কবুতরের মেমোরী কতটা ভাল তা বের করার একমাত্র ও নির্ভরযোগ্য পন্থা হলো, কয়েক পত্তন বাচ্চা করে সেই বাচ্চা বাসা চেনানোর থেকে আরম্ভ করে শেষ পর্যন্ত পরিনত বয়স পর্যন্ত প্রাকটিক্যাল উড়ায়ে দেখে, তার পর নিশ্চিৎ হতে হয় যে ভাল মেমোরী ও ভাল দমের কবুতর, এর আগে সম্ভব না। তাছাড়া দেখা গেলো ট্রেনিং এর প্রথম দিকে খুব ভালভাবে নীচে ও মধ্য আকাশে উড়ায়ে বাসা চিনালেন, অথচ সুপার টিপে যেয়ে দিক হারা হয়ে অন্যত্র চলে গেলো ও ফিরে আসলো না। তাই আমি একটি কথা সব সময় বলি, একটি ভাল কবুতরের দীর্ঘ সময় উড়ার ক্ষমতা যেমন থাকা দরকার, তেমনি বাসায় ফিরে আসাও দরকার। তাই, একটি ভাল জাতের হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতরের যেমন দম থাকতে হবে, ঠিক পাশ্বাপাশি প্রয়োজনীয় মেমোরীও থাকতে হবে।প্রয়োজনীয় মেমোরী এই কথাটা এই জন্য বল্লাম আপনার কবুতরের যত বেশী মেমোরী থাকুক না কেন, মেঘের পাল্লায় পড়ে দূরে কোথাও পথ হারায়ে গেলে হয়তো বা ফিরে আসবে না। তাই শুধু মেমোরীর পিছনে ঘুরে সময় নষ্ট না করে সব দিক বিবেচনায় এনে কবুতর পালন করা শ্রেয়। এইজন্য অভিজ্ঞ ব্রিডাররা ক্রসব্রিড ও বিভিন্ন জাতের মধ্যে সেট মিলায়ে মেমোরী ও উড়ার মধ্যে মিলতাল তৈরী করে বাচ্চা তোলার চেষ্টা করেন।
হা হা হা, যেতে যেতে এবার আমার মেমোরীতে থাকা কিছু তথ্য দিয়ে আজকের মত ইতি টানতে চাই, সেটা হলো আমি অনেক আগে ইন্টারনেটের একটি রিসার্চ পেপারে পড়েছিলাম যে, রেসার হোমার কবুতর তার স্মৃতিতে ১০০০-১২০০ মত ছবি মনে রাখতে পারে এবং ঠিক তার পাশ্বাপাশি হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতর মাত্র ৪০০-৪৫০ মত ছবি তার স্মৃতিতে ধারন করে রাখতে পারে। এছাড়া আমি তখন এও জেনেছিলাম, কবুতর নাকি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি অবস্থান চিনে ও নাকের উপরে থাকা ম্যাগনেটিক ফিল্ড এর সাহায়্যে বাসা খোজার কাজে ব্যাবহার করে। বিষয়গুলি কতটা সঠিক এটা আমি ১০০% নিশ্চিৎ না, কারন ইন্টারনেটে বহু ভুল ও আজগবি তথ্য থাকে, তবে এই ধরনের জটিল তথ্য নিয়ে বেশী কাজ করেন যাঁরা রেসিং এর সাথে জড়িত।
(০৩). বাজী ওলা কবুতর ............................. চলবে ।
ধন্যবাদ।।

ছবি ও ভিডিও

লিখেছেন -
Khulna Highflyer

ট্রেনিং পর্ব ০৫

“যেমন বাজি তেমন উড়া”
এক সময় খুব জোর দিয়ে বলা হতো, গিরিবাজ কবুতর মানেই বাজি থাকতে হবে এবং এটাই ধর্ম । কত ধরনের কত মানের বাজি যে আছে তার ঠিক ঠিকানা নেই, যেমন, আঞ্চলিকভাবে বিভিন্ন নামে পরিচিত কিছু বাজি, খাড়া-বাজি, চলতি-বাজি, সেলাই-বাজি, সড়কি-বাজি, ট্যায়ার-বাজি, হাত-বাজি, ম্যাঠেম-বাজি, লাথি-বাজি, বাম-বাজি, স্ক্রু-বাজি আরো যে কত ধরনের বাজি আছে তার ঠিক নেই। এইসব নাম থেকেই বুঝা যায় কবুতরটি কি ধরনের বাজি খায়? যেমন, হাত-বাজি মানে হাতের থেকে ছাড়লে বাজি খায়, ম্যাঠেম-বাজি মানে মাটিতে বাজি খায়, হা হা হা। তার মানে বুঝা যাচ্ছে আগেকার দিনে উড়ার সময়ের থেকে বাজির বিষয়টাকে বেশী প্রাধান্য দেওয়া হতো, এখন যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে এই ধারনাগুলি বিলুপ্ত হওয়ার পথে এবং মানুষ এখন শুধু জানতে চায় কত বেশী সময় উড়ে নামলো? আমি যখন প্রতিযোগীতায় উড়াই তখন যে সকল পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাঁদের কাছে গল্পের ছলে বহুবার কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি, ওমুক তো সেদিন ভালই উড়ালো, তা কবুতরের উড়ার ষ্টাইল আর বাজি কেমন? বাজির গুন সম্পর্কে ভাল কোনো মতামত দু-একজন বাদে তাঁদের কাছ থেকে আজও পাইনি। তার মানে কম বেশী সবাই ধীরে ধীরে বুঝতে শিখেছে, বাজিওলা কবুতর নিয়ে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করা কঠিন একটা কাজ। তার চেয়ে বরং পাতলা বাজির কবুতর পালন করা শ্রেয়। অবশ্য এখনও অনেকেই বাজিকে বেশিক্ষন উড়ার হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করেন, তাদের ধারনা কবুতর যখন নীচের দিকে নামতে চাইবে, তখন বাজির তোড়ে আবার উপরে উঠে যাবে। তবে আমার ধারনা, এই ধরনের জাতের কবুতর দিয়ে এই ধরনের ঘটনা তৈরী করা অনেক সময় কঠিন হয়ে দাড়ায়। কেননা, দেখা গেছে, অনেক সময় বাসা-বাড়ির উচ্চতা অনেক সময় ফ্যাকটর, যেমন এই ধরনের বাজি-ওলা কবুতর নীচু ছাদে বা বামে নামতে গেলে তখনই বাজি ধরে উপরে উঠে যাবে, কিন্তু উচু দালানের ক্ষেত্রে ঐ উচ্চতায় নেমে আসা তার জন্য সহজ হয়ে যায়, ফলে উচু দালান থেকে এই জাতের কবুতর বাজির তোড়ে দীর্ঘ সময় উড়ানো অনেক সময় সম্ভব হয়ে উঠে না, তাছাড়া একবার কষ্ট করে নামা ভালভাবে রপ্ত করে ফেলতে পারলে ঐ কবুতরের কাছ থেকে এই ধরনের সুবিধা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। আমি বরাবরি অতিরিক্ত বাজির বিপক্ষে, কেননা, আমার ধারনা প্রতিটি বাজি করতে যেয়ে কবুতর যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে দীর্ঘ সময় দম করতে সমস্যা হয়। ------------- চলবে ।
ধন্যবাদ।

ছবি ও ভিডিও


 লিখেছেন -
Khulna Highflyer

ট্রেনিং পর্ব ০৬

অনেকেই বোধ হয় অধৈর্য্য হয়ে যাচ্ছেন আমার পোষ্ট পড়তে যেয়ে, ইনবক্স সহ পূর্বের পোষ্টের দুই একজনের কমেন্ট পড়ে আমার সেই রকম মনে হচ্ছে। তাদের জন্য বলছি, আমি পোষ্টের ক্যাপশন “ট্রেনিং” রেখেছি এ কথা সত্য কিন্তু তার মানে এই না যে শুধু ট্রেনিং দেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেই ট্রেনিং হয়ে যাবে। আপনারা নিশ্চয় এটা স্বীকার করবেন, যে সকল হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতরকে ট্রেনিং দিবেন, তাদের মান যদি সেই পর্যায়ে না হয়, তাহলে আশানুরুপ ফল পাবেন না। তাই আমি চেষ্টা করছি একদম নতুন পালকদের জন্য হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতরের দোষগুনগুলো সহজভাবে তুলে ধরার ।
যাহোক গত পোষ্টের সুত্র ধরে জানাচ্ছি, নিজের আত্মতৃপ্তির জন্য বাজিওলা কবুতর খুব ভাল কিন্তু আপনি যখন কোনো বড় মাপের কে কতক্ষন উড়াতে পারে? এই ধরনের একটি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করতে চাইবেন, তখন বাজিওলা কবুতর খুববেশী উপযোগী বলে আমার মনে হয় না। কেননা, এমনও দেখা গেছে আবহাওয়া খারাপ থাকায় ১-২ দিন গ্যাপ দেওয়ার কারনে প্রতিযোগীতার দিন অতিরিক্ত বাজির কারনে যেখানে সেখানে বসে পড়েছে অথবা উড়তেই পারেনি। আমাদের মাথায় রাখতে হবে প্রকৃতিতে ঝড়-বৃষ্টি, মেঘ-কুয়াশা, বাজপাখির উৎপাত থাকবেই এবং ২-১ দিন কবুতরকে না চাইলেও রেষ্ট দিতে হতে পারে, আর যদি এই ধরনের রেষ্ট দেওয়ার ফলে কবুতর অতিরিক্ত বাজির কারনে নষ্ট হয়ে যায়, তার থেকে ঝামেলার আর কি হতে পারে?
এবার আসি কোন ধরনের বাজিওলা কবুতরগুলি বেশী ঝামেলা পাকায়? আমার দেখা সব থেকে সমস্যা করে, যেগুলি খুব বেশী শব্দ করে বাজি করে, যেগুলি পা খুলে দিয়ে হেলিক্পাটারের মত দাড়ায়ে থেকে বাজি করে, যেগুলি সেলাই বাজি করে, যেগুলি বাড়ির উপর আসলেই সার্বক্ষনিক বাজি করে। তবে সেইগুলো ভাল, যেগুলো উড়ানোর সময় প্রথম ও নামার সময় বাজি করে এবং মাঝে মধ্যে বাড়ির উপর এসে পাতলা বাজি করে।
প্রত্যেকটা জিনিসের একটি সীমা রেখা আছে, যেমন, চাকরীতে Service Length বলে একটা কথা আছে, অর্থাৎ কতদিন একজন মানুষ চাকরি করতে পারবেন? তেমনি হাইফ্লাইয়ার কবুতরও কতদিন ভাল উড়বে এবং মান ধরে রাখবে তারও একটা মাত্রা আছে, সেই হিসাব করতে গেলে অতিরিক্ত বাজিওলা কবুতর এক সিজন থেকে আর এক সিজন পর্যন্ত টেনে নেওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাড়ায়, কিন্তু পাতলা বাজির প্লেন কবুতরগুলি ২-৩ সিজন পর্যন্ত উড়ানো যায়।সাধারনত, বাজীওলা কবুতর অল্প বয়সে ভালই কসরত দেখায়, আর তাতেই আমরা অনেকে মনে করি, না জানি ১০ পাক ঝাড়ার পরে কতই না ভাল হবে। আসলে বাজির তোড়ে অল্প বয়সে সহজে নামতে পারে না এবং ক্ষেত্র বিশেষ অনেক দম করে, যেটাকে অনেকে হুতাশে উড়া বলেন এবং এই উড়াটাকে কাজে লাগিয়ে অনেকে আবার ভাল ফল বের করে আনেন, অবশ্য তার জন্য চাই অনেক বড় মাপের অভিজ্ঞতা, যা সাধারন কবুতরবাজদের জন্য পারা কঠিন।
বাজির কবুতরগুলোকে সাধারনত Roller Pigeon বলে।
(০১). Birmingham Roller
(০২). Galatz Roller
(০৩). Oriental Roller
(০৪). Parlor Roller
আমার ধারনা এদের সংশিশ্রনেই আমাদের হাতে বর্তমানে এইসব বাজিওলা কবুতর, আমরাতো মিক্সড ব্রিড ও ক্রস ব্রিড করাতে ওস্তাদ, হা হা হা।
---------------------- চলবে।
ধন্যবাদ।
** অতিরিক্ত বাজি হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতরের জন্য সব থেকে খারাপ একটি লক্ষন আর এটা নতুন পালকদের বুঝানোর জন্যে আমাকে ধান বানতে গীত গেতে হয়েছে। যা হোক আরো অনেক বলার ছিল কিন্তু লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে বিধায় আমাকে তাড়া-হুড়া করে আগামী পর্বে বাস-স্থান ও খাবার-দাবার সম্পর্কে ছোট ছোট কিছু কথাবার্তা বলে মুল ট্রেনিং পর্বের বিষয়ে ফিরে যাবো এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো না, কেননা আমি ডাক্তার নই, আমার ভুলের কারনে যদি কারো বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায় সেটা হবে আমার জন্য বিব্রতকর।

ছবি ও ভিডিও

লিখেছেন -
Khulna Highflyer

ট্রেনিং পর্ব ০৭

বাসস্থানঃ আমরা অনেকেই জানি কবুতর উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী (উষ্ণশোণিত প্রাণীও বলা হয়) , ফলে ঠান্ডা একদম সহ্য করতে পারে না। সাধারণত শীতল পরিবেশে এরা দেহাভ্যন্তরে গৃহীত খাদ্য থেকে বাড়তি তাপ উৎপাদন করে এবং এদের দেহস্থ সঞ্চিত চর্বি অথবা লোম, পালক ইত্যাদি বহিঃঅঙ্গ দেহস্থ তাপ হারাতে বাঁধা দেয়। অন্যদিকে উষ্ণ পরিবেশে এদের দেহ উপরিস্থ জলীয় উপাদান (moisture) বাষ্পীভবনের (evaporation) মাধ্যমে শরীরকে শীতল রাখে। এরা প্রচুর পরিমানে খাবার গ্রহন করে থাকে কিন্তু তার তুলনায় অতি স্বল্প খাবার বডি মাস এ রুপান্তরিত হয়। এই কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য, আর কিছু হোক বা না হোক আপনার কবুতরকে সেই সকল খাদ্য দিতে হবে এবং বাসস্থান অবশ্যই এমনভাবে তৈরী করতে হবে, যেন, মোটেও কবুতরের অতিরিক্ত ঠান্ডা ও অতিরিক্ত গরম না লাগে।তবে হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতর যথেষ্ট গরম সহ্য করতে পারে। কিন্তু, ঠান্ডা একদমই সহ্য করতে পারে না এবং এই কারনে ঠান্ডা জনিত রোগ বালাই বেশী হয়। আমাদের সবার উচিৎ এমনভাবে কবুতরের বাসা তৈরী করা যাতে শীতকালে ঠান্ডা মোটেও না লাগে, আর দেখা গেছে, ঠান্ডার থেকেই যতসব বড় বড় রোগব্যাধি হয়ে অনেকের শখের কবুতর ধ্বংশ হয়ে গেছে। এখন আপনারা আপনাদের খোপ কিভাবে তৈরী করবেন, সেটা আপনাদের বিবেচনা, তাছাড়া এখন ইন্টারনেটের যুগ আপনারা চাইলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম খোপ দেখতে পারবেন ও
ইচ্ছা করলে তার থেকে বিবেচনা করে খোপ তৈরী করে নিতে পারবেন। ঠিক তেমনি গরম কালেও আপনার কবুতরের খোপ খোলামেলা ও পর্যাপ্ত বাতাস যাতায়তের ব্যাবস্থা থাকা উচিৎ, যাতে করে গুমোট পরিবেশ সৃষ্টি না হয়ে কবুতর অসুস্থ হয়ে যায়। আমার ধারনা কাঠের খোপ সবদিক থেকে আদর্শ, কেননা কাঠ তাপ-কুপরিবাহী, ফলে গরমকালে অতিরিক্ত গরম এবং শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা হবে না এবং কাঠের খোপে হটাৎ করে তাপমাত্রার তারতম্য পরিবর্তন হয় না।

খাদ্যঃ অনেকের ধারনা শুধুমাত্র ভাল ভাল খাবার খাওয়ালেই হাইফ্লাইয়ার কবুতর ভাল দম করে। এই কথাটা একেবারেই সঠিক না। তাছাড়া আবার অনেকের ধারনা, পাকিস্তান ভারতের কবুতর পালকরা যে ধরনের উচু মানের খাবার তাদের কবুতরকে দেন, সেই খাবার না খাওয়ালে কবুতর ভাল উড়ে না। হা, একথা সত্যি আবহাওয়া ও শরীরের প্রয়োজনে যে আবহাওয়ায় যে খাবার প্রয়োজন, ঠান্ডার সময় শরীর গরম রাখবে এই ধরনের খাবার, আর গরমের সময় শরীর ঠান্ডা রাখবে সেই খাবার দেওয়া উচিৎ , সেইভাবে খাওয়াতে পারলে অবশ্যই ভাল ফল পাওয়া যায়। তবে, একটা কথা আমাদের বুঝতে হবে, প্রকৃতিতে তার প্রয়োজন অনুযায়ী সব কিছু এলাকা ভিত্তিক ফলন হয়।যেমন, পাকিস্তান ভারতে যে ধরনের খাদ্য শস্য উৎপাদন হয়, তা আমাদের দেশে হয় না, আবার আমাদের দেশে যেটা সহজ লভ্য সেটা পাকিস্তান ভারতে পাওয়া যায় না। আমাদের আবহাওয়ার সাথে সামাঞ্জস্য রেখে প্রকৃতিতে সেই সকল খাদ্যশস্য ফলন হয় এবং এটা আমাদের ও আমাদের প্রানীকুলের জন্য উপযোগী।--------- চলবে।
ধন্যবাদ ধর্য্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য।
*** ইতিপূর্বে হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতরের মান, বাসস্থান ও খাদ্য সম্পর্কে নতুন পালকদের প্রাথমিক ধারনা দিতে যেয়ে অনেক সময়ক্ষেপন হয়েছে, তার পরেও আমার ধারনা ১০% ধারনা দিতে পেরেছি কিনা, সন্দেহ। ইচ্ছা আছে, আগামী পর্বে সরাসরি ট্রেনিং এ চলে যাবো, তাই, তার আগে আমি আপনাদের কাছ থেকে এই পোষ্টের কমেন্টের মাধ্যমে জানতে চাই, আপনাদের কোন প্রশ্ন আছে কিনা? যেটা জানা থাকলে আমার ট্রেনিং সংক্রান্ত তথ্যগুলি সাজাতে সহজ হবে।

ছবি এবং ভিডিও

লিখেছেন -
Khulna Highflyer

কবুতরের হোমমেড হ্যান্ডফিডিং ফর্মুলা

বরাবরের মতো এইবারও বাচ্চাগুলাকে ওদের বাবা-মা খাবার খাওয়ায়...কিন্তু তারপরেও, আমি প্রতিদিনই ওদের একবার করে হ্যান্ডফিডিং করাই ওদের সুস্বাস্থ...