ট্রেনিং তো আরম্ভ করবেন, ভাল কথা, কিন্তু কি ধরনের কবুতর নিয়ে আরম্ভ
করবেন? অবশ্যই ভাল মানের ও জাতের কবুতর নিয়ে আরম্ভ করবেন, এইটাই স্বাভাবিক।
এখন ভাল কবুতর চিনবো কি করে? এটা খুব কঠিন একটা ব্যাপার, যদি আগের থেকে
জানা না থাকে এই কবুতরগুলি ভাল মানের। তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশের
প্রেক্ষাপটে ভাল কবুতর মানে ৬-৭ + ঘন্টা এবং খুব ভাল কবুতর ৯-১০+ ঘন্টা
উড়াকে ধরা হচ্ছে। অনেকেই ভাল কবুতর চেনার জন্য চোখ, ড্যানা, লেজ, নখ, ঠোট,
বুকের হাড্ডির দৈর্ঘ্য ইত্যাদির উপর নির্ভর করে এবং কেউ কেউ এইভাবে ভালই
চেনেন, কিন্তু আমার ধারনা, তারা কেউ ১০০% বলতে পারবেন না, এই কবুতরটি
সঠিকভাবে লালন-পালন ও পরিচর্যা করার পরে ৭-৮ + উড়বে। তাছাড়া ভালোর তো শেষ
নেই। তাই ভাল খুজতে খুজতে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাবে, তার চেয়ে বরংচ কোন কোন
বৈশিষ্ট থাকলে ধারনা করা যাবে কবুতরটি খুব ভাল নাও হতে পারে এবং এইটাই বোধ
হয় কিছুটা সহজ পদ্ধতি। (০১). চোখ দেখে বুঝার চেষ্টা করতে হবে, গিরিবাজ
কবুতর ব্যাতিত অন্য কোনো জাতের কবুতরের সাথে জোড় দিয়ে কবুতরটির জাত তৈরী
করা কিনা? (০২). চোখ যদি যথেষ্ট উজ্বল না হয় । (০৩). চোখের গিয়ার তুলনামূলক
মোটা ও লালচে ভাবের কিনা? ( এটা একান্তই আমার দেখা অভিজ্ঞতা, ব্যাতিক্রম
থাকতে পারে ) (০৪). শারীরিক গঠন লেজ পাকের তুলনায় শরীর বড় কিনা? (০৫). পা
অতিরিক্ত মোটা কিনা ? (০৬). পা অতিরিক্ত লম্বাটে কি না? (০৭). খাদ্য থলি
দেখতে বড় দেখায় কিনা? প্রয়োজনে ঠোটে মুখ দিয়ে হালকা ফু দিয়ে বেলুনের মত
ফুলায়ে দেখতে পারেন । (০৮). ঠোট অতিরিক্ত মোটা এবং কিছুটা রেসিং হোমারের
আকৃতির কিনা ও নাকের ফুল অতিরিক্ত ফোলানো কিনা? (০৯). ড্যানা খুলে ধরার সময়
হালকা শক্তি প্রয়োগ করতে হয় কিনা? (১০). হাতে নিয়ে ঝাকি দিলে লেজ অতিরিক্ত
খুলে যায় কিনা? (১১). লেজের গঠন এলোমেলো কিনা? (১২). শরীরের তুলনায় গলা
অতিরিক্ত লম্বা অথবা খাটো কিনা? (১৩). অতিরিক্ত ঘাড় কাপায় কিনা? (১৪). পায়ে
অতিরিক্ত মোজা আছে কিনা? (১৫). এছাড়া একদম নতুন পালকদের কিছু কিছু রঙের ও
চেহারার কবুতর যে গুলো কখনই ইতিপূর্বে ভাল রেজাল্ট করেনি, সেগুলো রিস্ক
নিয়ে না পালন করাই শ্রেয় এতে সময়ের অপচয় হওয়ার সম্ভবনা বেশী থাকবে, ইত্যাদি
ইত্যাদি, এতক্ষন যে হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ কবুতরের বৈশিষ্ঠ গুলো বলা হয়েছে
তা সাধারন ভাবে কিছুটা ধারনা নির্ভর কবুতরের নিম্নমানের লক্ষন হিসাবে
বিবেচনা করা হয়েছে, যে গুলো দিয়ে ৬-৭ + ঘন্টা দম করানো অনেক সময় কঠিন হয়ে
যায়, তবে এমন না যে এর যেকোনো দুই-একটা লক্ষন থাকলেই যে একদম খারাপ হয়ে
যাবে, এমনটা আবার ১০০% সঠিক না। এছাড়া আরো কিছু খারাপ বৈশিষ্ট, যে গুলো
আকাশে দিয়ে পরীক্ষা করতে হয, যেমন, (০১). সার্বক্ষনিক দ্রুতগতিতে উড়া একটি
খারাপ লক্ষন, একটি কথা প্রচলিত আছে, যে গরু বেশী দুধ দেয় সে ধীর পায়ে হাটে,
ঠিক তেমনি যে কবুতর ধীরে ধীরে উড়ে সেই কবুতর দীর্ঘ সময় উড়তে সক্ষম, ও
বেশীরভাগ সময় দেরীতে টিপে লাগে।(০২) মেমোরী কেমন?
................................ চলবে ।। ধন্যবাদ।
***
বিঃদ্রঃ হাইফ্লাইয়ার গিরিবাজ খারাপ কবুতরের আরো অনেক সুক্ষ সুক্ষ বৈশিষ্ট
আছে, যা এখানে ও আগামীতে খোলাসা ভাবে কখনও প্রকাশ করা হবে না, কেননা, তাতে
অনেক সময় ব্যাতিক্রম হওয়ার কারনে বিতর্কের সৃষ্ঠি হবে ও আমি বিতর্কের মধ্যে
পড়বো, যা আমার কাম্য নয়। সব কিছুতে কিছু ব্যাতিক্রম থাকে, তাই আমি চেষ্টা
করবো নতুনদের ঢালাওভাবে অল্প পরিশরে কিছু তথ্য জানানো যায় কিনা। তাছাড়া আমি
যেটা সহজভাবে বুঝি, কবুতর না উড়ায়ে ভাল খারাপ বুঝতে পারা ধারনা নির্ভর
ছাড়া আর কিছুই না।
ছবি ও ভিডিও
লিখেছেন -
No comments:
Post a Comment