গত পর্বে আপনারা অনেকেই মনে করেছেন, খলিলের কবুতর “গ্যাছো” এটা জানাই বোধ হয় আমাদের সব জানা হয়ে গেছে, আসলে তা না, ঘটনা আরো বাকি আছে।
খলিল সহজে তার ঐ নরের বাচ্চা তুলতো না আর বিক্রি করতো না, করলেও চড়া দামে বিক্রি করতো। যতদূর মনে পড়ে বাজারে তখন ৪-৫ টাকা জোড়া হিসাবে গিরিবাজ কবুতর পাওয়া যেত এবং Gold Point হিসাবে ১০০-১২০ টাকা জোড়া পড়তো, সেখানে খলিল ১০-১৫ জোড়া হিসাবে বাচ্চা বিক্রি করতো। আমরা দুই বন্ধুও পর পর ২ জোড়া বাচ্চা খলিরের কাছ থেকে কিনেছিলাম, এপর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু যেটা অবাক হওয়ার বিষয় সেটা হলো আমরা দুজনেই বাচ্চা যখন সবে মাত্র খাবার ঠোক দেওয়া শিখেছে এবং ঘরের থেকে একদিনের জন্যও বের হয়নি, যে তারা তাদের মা-বাবার চলাফেরা গতিবিধি লক্ষ্য করবে এবং বাবা-মাকে অনুকরন করবে, এই বয়সে নিয়ে এসেছিলাম। এত ছোট বয়সে নেওয়ার কারন ছিল, যদি অন্য কেউ আমাদের আগে নিয়ে নেয়।
যাহোক, বাচ্চাগুলি যখন উড়তে শিখলো তার কিছুদিন পরে আশ্বেপাশের নারিকেল গাছ সহ বিভিন্ন গাছে বসা আরম্ভ করলো, এমন না যে শুধু আমার গুলো, পরের বাচ্চাগুলিও যেগুলো আমার এক বন্ধু নিয়েছিল সেগুলোও একইভাবে বিভিন্ন গাছে বসা আরম্ভ করেছিল। এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, সেটা হলো আমাদের বাসা তখন ৫ তলা, অথচ ২-৩ তলা সমান নারকেল গাছে যেয়ে বসতো। তাই আমার মোটা মাথার ধারনা, যদি কোনো কবুতরের ব্লাড লাইনের মধ্যে যদি গাছে বসার অভ্যাস থাকে, তাহলে সে গাছে বসতে পারে। অবশ্য এই ধরনের মনগড়া ধারনা করার কারন, পাখি সাধানরত গাছে বসে, তেমনি কবুতর, চড়ুইপাখি এরা সাধারনত বাসা বাড়িতে বসবাস করে এবং বাসাবাড়িতেই থাকতে পছন্দ করে, অবশ্য এটাও দেখা গেছে, যেগুলো জংলি বুনো কবুতর, তাদের গাছে বাসা বেধে বাচ্চাকাচ্চা করতে।
------------ চলবে।
ধর্য্য ধরে সংগে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
*** সকলকে অনুরোধ করবো, গ্যাছো কবুতর বিষয়ে যার যা অভিজ্ঞতা আছে তা আমাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে, তাহলে কেন কবুতর গাছে বসে তার যথার্থ কারন আমরা বের করতে পারবো।
লিখেছেন -
No comments:
Post a Comment