Thursday, 11 July 2019

ট্রেনিং পর্ব ৩০

আজকের বিষয় গিরিবাজ কবুতরের বাজি সংক্রান্ত। কম বেশী সবাই বলেন, গিরিবাজ কবুতর মানে তার ভিতর বাজি থাকতে হবে, তা না হলে অনেক সময় অনেকেই গিরিবাজ কবুতর হিসাবে মানতে নারাজ। একথা সত্যি, এক সময় গিরিবাজ কবুতরের প্রধান মানদন্ড ছিল বাজি, আর এখন এমন অবস্থা কত দীর্ঘ সময় উড়লো? সেটা দিয়েই একটি গিরিবাজ কবুতরের মান নিরুপন করা হয়। কেননা, প্রতিযোগীতায় বাজিকে কোনো হিসাবের মধ্যে ধরা হয় না, তাই বোধ হয়, এই অবস্থা।
ট্রেনিং এ কখন কোন বয়সে বাজি ঘুরবে? সেটা জানা প্রয়োজন, তাই বিক্রেতা ও দাতার নিকট থেকে আগেভাগে জানা থাকলে ভাল হয় এবং বয়স ভেদে বাজি ঘুরার পরে ও কি ধরনের বাজি হবে জানা থাকলে কবুতরের ভালমন্দ বুঝতে কিছুটা হলেও সহজ হয়। যেমন, যদি জানা যায় খুব অল্প বয়সে বাজি ঘুরবে এবং বাজির মাত্রা বেশী হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে খারাপ হওয়ার সম্ভবনা থাকে, আর যদি জানা যায় দেরীতে বাজি ঘুরবে, তাহলে ধারনা করা হয় ভাল উড়ার সম্ভবনা বেশী।
জাতে অতিরিক্ত বাজি দীর্ঘ সময় উড়ার জন্য বাধা, আমার ধারনা অতিরিক্ত বাজির কারনে কবুতর দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে কম দম করে, তাছাড়া অতিরিক্ত বাজিওলা কবুতর বাজপাখির শিকার বেশী হয়।
ট্রেনিং এ বাজি ঘুরানো একটি সমস্যা, যদি জাতের মধ্যে ভাল মানের বাজি না থাকে। তাই তখন অনেক সময় ছোটদের সাথে দুই একটা বয়স্ক বাজিওলা কবুতর সাথী হিসাবে দেওয়া হয়, যেন অনুকরন প্রিয় কবুতর দেখে অনেক সময় বাজি খাওয়ার চেষ্টা করে।
-------- চলবে ।
ধর্য্য ধরে সংগে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
*** যদি কখনও দেখা যায় কবুতরের কোনো কারনে কোনো এক ড্যানার দুই একটি পাখ কোনো কারনে পড়ে গেছে, অথচ অন্য ড্যানায় সেই পাখগুলি তখনো বহাল আছে, তাহলে উচিৎ হবে, যদি পাখ কাঁচা না থাকে, তাহলে ঐগুলিও তুলে ফেলে ব্যালান্স করে দেওয়া। তাতে কবুতরের উড়তে সাচ্ছন্দ বোধ করবে।
 লিখেছেন -
Khulna Highflyer

No comments:

Post a Comment

কবুতরের হোমমেড হ্যান্ডফিডিং ফর্মুলা

বরাবরের মতো এইবারও বাচ্চাগুলাকে ওদের বাবা-মা খাবার খাওয়ায়...কিন্তু তারপরেও, আমি প্রতিদিনই ওদের একবার করে হ্যান্ডফিডিং করাই ওদের সুস্বাস্থ...