যাহোক, উড়ানোর জন্য অনেক কবুতর থাকলে ছোট ছোট দল করে ও আগে পিছে সময় করে কবুতর উড়ানো ভাল, তাতে করে সহজে কবুতরের দোষগুন নির্দিষ্ট করা যায়। আমাদেরকে অবশ্যই বুঝার চেষ্টা করতে হবে, দলের কোন কোন কবুতরটির কারনে অন্যরা পিছায়ে পড়ছে? কারন কবুতর ট্রেনিং এর প্রাথমিক পর্যায়ে প্রচন্ড অনুকরন প্রিয়। যখন বয়স হয়ে যায়. তখন নিজের জাতের রক্তের দোষগুন প্রকাশ পায়, তখন আর অনুকরনের বিষয়টা গুরুত্ব পায় না। যেমন, যে জাতের মধ্যে অতিরিক্ত বাজী আছে, তাকে চাইলেও সহজে বাজী কমায়ে উড়ানো সম্ভব হবে না। আবার যে জাতের মধ্যে দীর্ঘ সময় ড্যানা মেলে চিলের মত উড়ার অভ্যাস আছে, তা না চাইলেও ঐভাবে উড়বে। অনেকের কাছে এই ড্যানা মেলে উড়ার ব্যাপারটা খারাপ দৃষ্টিতে দেখা হয়, কিন্তু আমি দেখেছি এই ধরনের কবুতর আবার দীর্ঘ সময় উড়ার ক্ষমতা রাখে, আমার ধারনা এই পদ্ধতিতে কবুতর পাখার রেষ্ট নিয়ে আবার নতুন উদ্যমে উড়ে।
কবুতর ট্রেনিং এর প্রাথমীক পর্যায়ে দলে অল্প উড়া ১-২ টা পুরানো বুড়ো কবুতর হলে বাচ্চাদের ট্রেনিং দিতে সুবিধা হয়। কারন হিসাবে দেখা গেছে নতুন ট্রেনিং দেওয়া বাচ্চারা ওদের অনুসরন করে উড়ে ও অনুকরন করার চেষ্টা করে। তবে অবশ্যই একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, যেন বুড়ো কবুতরগুলির
উড়ার মধ্যে যেন খারাপ কিছু লক্ষন না থাকে, যেমন, বাজী খেয়ে ফিনিসিং না দিয়ে হাফ মাজা ভাংগা, তারপর অতিরিক্ত ড্যানা পিটানো ইত্যাদি ইত্যাদি, তাহলে নতুনরাও অনুকরন করে এই সব খারাপ অভ্যাস গড়ে তুলবে।অনেকে এই ধরনের বুড়ো কবুতরগুলোকে ট্রেনার হিসাবেও আখ্যা দিয়ে থাকেন, হা হা হা।
---------------- চলবে ।
ধর্য্য ধরে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
*** ফেসবুকে অনেককে দেখি আনাড়ীভাবে কবুতর ধরতে, আগে ভালভাবে কবুতর ধরা শেখেন। মনে রাখবেন উড়ানোর আগে আপনার আনাড়ী হাতে ধরার কারনে আপনার কবুতর খারাপ পারফর্ম করতে পারে।
*** ছবিগুলি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ।
ছবি ও ভিডিও
লিখেছেন -
No comments:
Post a Comment